গত ২৪ জুলাই সাভার মডেল থানায় রাস্তা অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আলমগীর (৪০) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির মৃত নেতা আসগর হোসেনকে আসামি করা হয়।
বাদী বলেন, আমি কাউকে চিনি না জানি না, কার নামে মামলা দেব। থানা থেকে বলেছে, মামলা না করলে পোড়া গাড়িটাও পাওয়া যাবে না। পরে বাধ্য হয়ে মামলা করেছি।
গত ১৮ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে চারটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন দেন দুষ্কৃতকারীরা। ওই ঘটনায় আগুনে পুড়ে যায় জাহাঙ্গীর পরিবহণ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস।
ওই বাসের সুপারভাইজার আলমগীর মামলার বাদী হয়ে ৫৩ জন বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও শতাধিক আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে আজগর আলীকে (৩৫)। এতে বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছে মৃত আফছার উদ্দিন এবং সাভার পৌর এলাকার বি/১১৮ জালেশ্বর এলাকার বাসিন্দা দেখানো হয়েছে। তবে এ ঠিকানায়ও এমন কোনো আসামির হদিস পাওয়া যায়নি।
এদিকে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃত আজগর হোসেনের স্ত্রী সোহেলি সুলতানা বলেন, আমার স্বামী আজগর হোসেন। তার বাবার নাম আফছার উদ্দিন। আমার স্বামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।
মামলার বাদী আলমগীর বলেন, সেখানে আমি মামলা দিতে চাইছিলাম না। কারণ আমি কাউকে চিনি না জানি না, কার নামে মামলা দেব। থানা থেকে বলেছে, মামলা না করলে পোড়া গাড়িটাও পাওয়া যাবে না। পরে বাধ্য হয়ে মামলা করছি। আমি তো শুধু নিজের নামটা কোনোরকম সই করতে পারি। আমি তো জানি না, এত কিছু কাহিনি হবে। আমি আগে জানলে কখনো বাদী হতাম না। আমার বাড়ি নাটোরে। কার কী নাম, কার কী বাপের নাম আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, প্রিন্টিং মিসটেক বা তথ্যে ভুলের কারণে এমন হতে পারে। তবে তদন্তের মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.